অ্যামিকাস কিউরি (Amicus curiae) কি?

আজকাল সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর বিতর্কের কারণে এই “অ্যামিকাস কিউরি ” শব্দটি ঘুরে ফিরেই সামনে চলে আসছে, আর যারা সাধারনত আইনের পাঠক না তাদের এক কথায় এর মানে বোঝাও একটু দুষ্কর হয়ে যাচ্ছে, আসুন আমারা অ্যামিকাস কিউরি (Amicus curiae) কি? তা একটু ভেঙ্গে ভেঙ্গে সহজে বোঝার চেষ্টা করি।

অ্যামিকাস কিউরি (Amicus curiae) কি?

অ্যামিকাস কিউরি (Amicus curiae) কি?

অ্যামিকাস কিউরি (Amicus curiae) বাংলায় বললে দাড়ায় আদালতের বন্ধু। আদালত যদি বিষয় কোন না বোঝে অথবা আরো বোঝার বা জানার থাকলে, বিব্রত হলে কিমবা প্রয়োজন মনে করলে যে কোন বিষয়ের বিশেষজ্ঞের মতামত নিতে পারে। এই বিশেষজ্ঞদের তখন আদালতের বন্ধু বলা হয়। এখন প্রশ্ন আসতে পারে এই বিশেষজ্ঞ কারা? কারা “অ্যামিকাস কিউরি” হতে পারেন? আসলে এর কোন সুনির্দিষ্ট বাধ্যবাধকতা নেই তবে, যারা যেই বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হিসেবে স্বীকৃত, তাদের সেই বিষয়ে জানতে আদালত ডাকতে পারে। যেমন দাঁতের সমস্যায় নিয়ে কোন বিষয়ে বুঝতে আদালতের (জজ সাহেবের) সমস্যা হল তখন তিনি একজন প্রখ্যাত দাঁতের ডাক্তার কে তাকে বিষয়টি বোঝানোর জন্য এমন সাহায্য করার জন্য ডাকতে পারেন। আবার বিজনেসের জটিলি বিষয় হলে আইবি এর কোন টিচার সেই বিষয়ে বিশেষ জ্ঞানের অধিকারী হলে তিনিও অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন।

চলুন একটা উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বুঝে নেই।

ধরি, রহিম মিয়ার সন্তান হবেনা বলে তার ডাক্তার রিপোর্ট দিয়েছে, এবং এটা সবাই জানে, কিন্তু তার প্রেমিকা কিছুদিন পর গর্ভধারণ করলে। এবং এই অবস্থা রহিম কোন রকমের দায় না নিতে চাইলে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াল। আদালতে রহিম তার কাগজ-পত্র -রিপোর্ট ইত্যাদি দাখিলের পরে আদালতের কিছু বিভ্রান্তি তৌরী হল,কিন্তু রহিমের প্রেমিকা খুব জোর দিয়েই তার দাবি করে গেল। আদালত পড়লো বিপদে কারণে তারা আইন জানলেও র্ফাটিলিটি বিষয়ে তাদের ভুল বোঝানো যেতে পারে। আবার কথা এখন বাচ্চা জন্ম না হওয়া পর্যন্ত বুঝা যাবে না বাচ্চাটির বাবা আসলে কে। কোর্ট পড়লো বিপদে, আদালত তখন ডাকল ডা. মেহেদি হাসানকে, কারণ সে পিজি হাসপাতালের র্ফাটিলিটি বিষয়ক এক্সপার্ট ও প্রোফেসার। তার মতামত বিচারকরা নেবেন বিষয়টা বোঝার জন্য। তিনি বিস্তারিত মতামত দিয়ে সব কাগজ-পত্র খতিয়ে দেখে তার মতামত দেবেন। আদালত ইচ্ছে করলে এমন এক বা একাধিক বিশেষজ্ঞকে ডাকতে পারেন এবং তাদের সাহায্য নিতে পারেন।

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল lawhelpbd@gmail.com বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: rayhan@lawhelpbd.com more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!