সংক্ষেপে জেনে নেই মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২

এই আইনের বিষয় বস্তু হোল “অর্থ” যা কোন দেশের জাতীয় সম্পদ হোক তা সরকারী অথবা ব্যক্তিগত হেফাজতে। কোন দেশের আর্থিক অবস্থা তার বাকি সব ব্যবস্থা যেমন ব্যাংকিং, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, শিল্পায়ন, কৃষি ইত্যাদির সাথে সরাসরি জড়িত তাই যদি অবোধ উপায়ে কোন অর্থ উপার্জন করা হয়, হস্তান্তর করা হয় অথবা বৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থের হিসেব লুকানো হয় বা পাচার করা কিম্বা অবৈধ আয়কে বে আইনি পক্রিয়ায় বৈধ করা হয় তখন তা দেশের এই সামগ্রিক অর্থ ব্যবস্থা তথা দেশের সকল বিষয়ে মারাত্মক বিরূপ প্রভাব ফেলে। অন্য দিকে এই অবৈধ অর্থের সাথে সাধারণত বে-আইনি আয়, ট্যাক্স ফাকি ইত্যাদির সরাসরি যোগাযোগ থাকে। তাই এই বিষয়গুলো প্রতিহত এবং প্রতিরোধ করার জন্য এই বিশেষ আইনে বিশেষ বিধান রয়েছে।

চলুন তাহলে দেখে নেই এই আইনে আসলে কি বলা আছে আর বুঝে নেই আইনের গুরুত্বপূর্ণ ধারা গুলো।

প্রথমত, প্রশ্ন আসে,

মানিলন্ডারিং আসলে কি?

সহজ ভাষায়, অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন, সংরক্ষণ, ট্যাক্স ফাকি দেওয়া, গ্রহণ বা প্রেরণ অথবা তথ্য গোপন করাই মানি মানিলন্ডারিং। আর যদি নামের সাথে মিল রেখে বলতে হয় তবে বলা যায় আমরা যেমন ময়লা কাপড় লন্ড্রি করে চকচকে বা নতুন করে ফেলি তেমনি কেউ যখন তার ময়লা টাকা (অসৎ) টাকা সাদা করার চেষ্টা করে সেটাই মানিলন্ডারিং।

 বিস্তারিত উত্তর দেওয়া আছে এই আইনের ২ ধারার (ফ) উপ ধারায়,

(অ) নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত সম্পত্তি জ্ঞাতসারে স্থানান্তর বা রূপান্তর বা হস্তান্তরঃ (১) অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করা; অথবা (২) সম্পৃক্ত অপরাধ সংগঠনে জড়িত কোন ব্যক্তিকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ হইতে রক্ষার উদ্দেশ্যে সহায়তা করা;

(আ) বৈধ বা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ বা সম্পত্তি নিয়ম বর্হিভূতভাবে বিদেশে পাচার করা;
(ই) জ্ঞাতসারে অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করিবার উদ্দেশ্যে উহার হস্তান্তর, বিদেশে প্রেরণ বা বিদেশ হইতে বাংলাদেশে প্রেরণ বা আনয়ন করা;
(ঈ) কোন আর্থিক লেনদেন এইরূপভাবে সম্পন্ন করা বা সম্পন্ন করিবার চেষ্টা করা যাহাতে এই আইনের অধীন উহা রিপোর্ট করিবার প্রয়োজন হইবে না;
(উ) সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচিত করা বা সহায়তা করিবার অভিপ্রায়ে কোন বৈধ বা অবৈধ সম্পত্তির রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করা;
(ঊ) সম্পৃক্ত অপরাধ হইতে অর্জিত জানা সত্ত্বেও এই ধরণের সম্পত্তি গ্রহণ, দখলে নেওয়া বা ভোগ করা;
(ঋ) এইরূপ কোন কার্য করা যাহার দ্বারা অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করা হয়;

এবং,  এ) উপরে বর্ণিত যে কোন অপরাধ সংঘটনে অংশগ্রহণ, সম্পৃক্ত থাকা, অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র করা, সংঘটনের প্রচেষ্টা অথবা সহায়তা করা, প্ররোচিত করা বা পরামর্শ প্রদান করা;

আশা করি চিত্রটা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার তবুও আরো একটু পরিষ্কার করার লক্ষে আইনটির আরো কিছু সজ্ঞায়ন নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রদান করলাম।

(ক) অর্থ বা সম্পদ পাচার –

  • ১) দেশের আইন অমান্য করে দেশের বাইরে অর্থ প্রেরণ
  • ২) দেশের বাইরের যে অর্থ বাংলাদেশের স্বার্থ রয়েছে তা দেশে আনা সম্ভব হওয়া সত্ত্বেও দেশে আনা থেকে বিরত থাকা।
  • ৩) বিদেশ থেকে পাওনা টাকা না আনা বা বিদেশে প্রকৃত দেনার অতিরিক্ত পরিশোধ করা

(খ) “অর্থ মূল্যের হস্তান্তর” অর্থাৎ অর্থ মূল্যের সম পরিমাণ টাকা আইনে অনুমোদিত নয় এমন উপায়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করা।
(গ) “অপরাধ-লব্ধ আয়” অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত আয়।

(য)”সন্দেহজনক লেনদেন

  • যা স্বাভাবিক নয়
  • যেই লেনদেনে ধারনা করা যায় যে তা অপরাধের সাথে সম্পর্ক যুক্ত বা সন্ত্রাসী অর্থায়নে জড়িত।

(ল)”সম্পত্তি” : দেশে বা দেশের বাইরে অবস্থিত সম্পত্তি

(শ)”সম্পৃক্ত অপরাধ”: এমন অপরাধ যা সংগঠনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং করা যায়

  • ঘুস, দুর্নীতি, মুদ্রা জাল, জালিয়াতি, প্রতারণা, যৌতুক, পুঁজি বাজার নিয়ন্ত্রণ, হুন্ডি (এমন ধরনের অবৈধ কাজ) ইত্যাদি।

এই আইনটির নাম শুনে অনেকেই ভাবতে পারেন এ আবার এমন কি ব্যাপার? অনেকেইতো করে আর করলেই বা কি হবে? নিশ্চিন্ত হবার কোন করন নেই আইনে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে অপরাধদের ধরার কৌশল থেকে বিচার করা সব বিষয়।

মানিলন্ডারিং এর শাস্তি

ধার ৪ এ বলা হয়েছে, মানিলন্ডারিং অপরাধ করলে বা চেষ্টা, সহযোগিতা কিম্বা ষড়যন্ত্র করলে

  • সর্বনিম্ন ৪ থেকে সবোচ্চ ১২ পর্যন্ত করা দন্ড প্রদান করেতে পারে।
  • এর সাথে অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুন (2 X value) পরিমান অর্থ দন্ড প্রদান করতে পারে।
  • সম্পত্তি ক্রোক এবং বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
  • কোন সত্ত্বা (Legal Person)এই অপরাধ করলে ধরে নেওয়ে হবে সেটা যারা পরিচালনা করেন তারা এই অপরাধে জড়ীত (বিস্তারিত ধারা ২৭ এ) এবং সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুন বা সবোচচ ২০ লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড দেয়া যাবে এবং প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল করা যাবে।
  • অর্থ দন্ড আদায় করা না গেলে কারা দন্ড দেওয়া যাবে।

এছাড়াও তদন্তের সময় ও বিচার চলাকালীন সময়ের জন্য সরকার বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। যেমন, ব্যাংক একাউন্ট স্থগিত করা। নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা ইত্যাদি।

এখন একজন অপরাধী স্বাভাবিক ভাবে ভাবতেই পারে যে সে নিশ্চই কোন প্রমান রেখে মানিলংন্ডারিং করবে না আর তাই সরকার এই আইনের অধীনে বিশেষ সংস্থাকে এইসব অপরাধীদের খুজে বের করার লক্ষে বিশেষ দায়িত্ব দিয়েছে। এই আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠিত এই বিশেষ সংস্থাটির নাম: বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (BFIU) 

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এর দায়িত্ব ও কাজ (BFIU)

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট সকল আর্থিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য গ্রহণ ও সংগ্রহ করবে এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাদের স্ব-প্রণোদিত হয়ে বা চাহিদা অনুসারে তথ্য দিয়ে ও তাদের আদেশ মেনে সহযোগিতা তা করবে। (ধারা ২৩ ও ২৪)

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট  রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থা হতে প্রাপ্ত কোন সন্দেহজনক তথ্যাদির প্রেক্ষিতে তা –

  • বিশ্লেশন, পর্যবেক্ষন ও পর্যালোচনা করতে পারবেন।
  • তথ্য গ্রহণ ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
  • কোন অপরাধে ব্যবহৃত হতে পারে এই জ্ঞানে যক্তিসঙ্গত কারন থাকলে কোন সংস্থাকে তা ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দিতে পারে।
  • মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতে পারে
  • প্রশিক্ষন ও অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।

কোন সন্দেহজনক বা বিশেষ তথ্যের জন্য তদন্তকারী দল বা ব্যাক্তি বাংলাদেশ ফাইন্যন্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের নিকট তথ্য চাইবে তখন তা বাংলাদেশ ফাইন্যন্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের যথাযথ সংস্থার কাছে প্রদান করার জন্য আদেশ দেবে যদি উক্ত সংস্থা যথা সময়ে তথ্য প্রদানে ব্যর্থ হয় তবে উক্ত সংস্থাকে: –

  • ১০ হাজার টাকা করে প্রতিদিন, সবোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে।
  • একটি সংস্থাকে বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার এমন জরিমানা করা যাবে।
  • ৩ বারের বেশী হলে তার লাইসেন্স বাতিল হবে।

যদি কোন সংস্থা ভুল তথ্য প্রদান করে তবে:

  • ২০ হাজার টাকা করে প্রতিদিন, সবোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে।
  • একটি সংস্থাকে বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার এমন জরিমানা করা যাবে।
  • ৩ বারের বেশী হলে তার লাইসেন্স বাতিল হবে।

যদি কোন সংস্থা নির্দেশ পালনে ব্যর্থ হয় তবে:

  • ১০ হাজার টাকা করে প্রতিদিন, সবোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে।
  • একটি সংস্থাকে বছরে সর্বোচ্চ ৩ বার এমন জরিমানা করা যাবে।
  • ৩ বারের বেশী হলে তার লাইসেন্স বাতিল হবে।

এমন কোন জরিমানা অনাদায় থাকলে তা আদালতকে অবহিত করবে এবং আদালত কিভাবে তা আদায় হবে সে বিষয়ে রায় দেবেন।

মিথ্যে তথ্য প্রদান ও অসহযোগিতা

এখানে দেখা যাচ্ছে সংস্থাগুলো আইনত তথ্য দিতে বাধ্য কিন্তু যদি এমন হয় যে ক্লাইন্ট বা উইজার সঠিক তথ্য দিচ্ছে না বা ভুল পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে। তাহলে কি হবে এবং কি শাস্তি হবে তাও এই আইনে বলা আছে।

মানিলন্ডারিং আইনের অধীনে তদন্তে বাধা প্রদান করলে বা সহযোগিতা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে। (ধারা ৭ )

  • সর্বোচ্চ ১ পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদান করেতে পারে বা
  • এর সাথে ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ড প্রদান করতে পারে। বা
  • উভয় দণ্ড দিতে পারেন।

মানিলন্ডারিং আইনের অধীনে কোন ব্যক্তি অর্থের উৎস, পরিচিতি, নমিনির মিথ্যে তথ্য প্রদান করলে। (ধারা ৮)

  • সর্বোচ্চ ৩ পর্যন্ত কারাদণ্ড প্রদান করেতে পারে বা
  • এর সাথে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ দণ্ড প্রদান করতে পারে। বা
  • উভয় দণ্ড দিতে পারেন।

অপরাধ তদন্ত ও বিচার:

  • সকল তদন্ত ২(ঠ) তে উল্লেখিত [বাংলাদেশ পুলিশ বা এর তদন্ত বিভাগ] কর্তৃক তদন্ত-যোগ্য হবে। অথবা,
  • সরকারের সাথে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ ফাইনাসসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক যৌথ তদন্তকারী দল তদন্ত করবে।
  • Criminal law Amendment Act 1958 এর ধারা ৩ এর অধীনে নিযুক্ত স্পেশাল জজ কর্তৃক বিচার্য হবে।
  • তদন্ত দল এই আইন ছাড়াও তদন্ত কাজে অন্য আইনের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
  • তদন্ত দল বাংলাদেশ ফাইনাসসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে তাদের তদন্তের বিষয় অবহিত করবে।

ধারা ১০, স্পেশাল জজ এই আইনের অধীনে সকল প্রকার বিচার করতে পারবেন, তিনি কোন তদন্তের নির্দেশ দিরে তদন্তকারী কর্মকর্তা তা ৬ মাসের মধ্য প্রতিবেদন আকারে জমা দেবেন।
ধারা ১১, এই আইনের অপরাধ সমূহ, আমল যোগ্য, অ-আপস যোগ্য এবং অ-জামিন যোগ্য ।
ধারা ১২, এই আইনের অধীনে কোন পদক্ষেপ নিতে হলে আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। অনুমোদিত হলে তা তদন্তকারী দল তার প্রতিবেদনের সাথে আদালতে দাখিল করবেন।

 

এই আইনটির প্রয়োগ তুলনামূলক ভাবে কম দেখা গেলেও এর পরিধি অনেক বেশি তাই না বুঝে বা অনুমোদন হীন ভাবে বা সাধারনৱ নিয়মের বাইরে কোন ধরনের আর্থিক ও অন্য কোন লেন-দেন থেকে বিরত থাকুন। শুধুমাত্র পরিচিত বা মানবিক করনে ব্যাংক একাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং এর তথ্য দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর আইন জানুন, জানান ও নিরাপদে থাকুন।

বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: [email protected] more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!