সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা কি ও অজুহাত (Alibi) কিভাবে প্রাসঙ্গিকতা পায়?
সাক্ষ্যের প্রাসঙ্গিকতা বলতে কি বুঝেন? কোন অপরাধজনক ঘটনার পূর্ববর্তী, পরবর্তী আচরন এবং অজুহাত(Alibi) কিভাবে প্রাসঙ্গিকতা পায় তা আজ আমরা বুঝবো।
১৮৭২ সনের সাক্ষ্য আইনের ৩ ধারা মোতাবেক যে বিষয় গুলো সরাসরি বিচার্য নয় কিন্তু যে বিষয়গুলোর সাহায্যে বিচারকার্যে বিচার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারা যায় সে গুলো প্রাসঙ্গিক বিষয় বলা হয়। সাক্ষ্য আইনের ৮ ধারা মোতাবেক পূর্ববর্তী বা পরবর্তী আচরন বিচার্য বিষয় বা প্রাসঙ্গিক বিষয় সংগঠনে অভিপ্রায় বা উদ্যোগ যে বিষয়ের দ্বারা সৃষ্টি হয় কিংবা যে বিষয় হতে দেখা যায় বা প্রতীয়মান জয় সেগুলো প্রাসঙ্গিক বিষয়।
কোন মামলা কিংবা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে বা তাতে বিচার্য বা প্রাসঙ্গিক কোন সম্পর্কে ক্ত মামলা বা বিচার কার্যক্রমের কোন পক্ষ বা কোন পক্ষের প্রতিনিধির আচরণ এবং যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংঘটিত কোন অপরাধ কোন ফৌজদারী কার্যক্রমের বিষয়বস্তু তার আচরণ যদি কোন বিচার্য বা প্রাসঙ্গিক বিষয়কে প্রভাবিত করে বা তার দ্বারা প্রভাবিত জয়, তবে সে আচরণ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে পূর্ববর্তীই হোক বা পরবর্তী তাহলে তা প্রাসঙ্গিক।
উল্লিখিত প্রসঙ্গের শেষ অংশানুযায়ী সাক্ষ্য আইনের ১১ ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত আসামী যদি ঘটনার বর্ণিত দিন কিংবা সময়ে আসামীর অন্যত্র অবস্থােনর বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনমূলক বক্তব্য আদালতে উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করতে চায় তাকেই আসামীর অজুহাত (AlibiZ) বলে।
সাক্ষ্য আইনের ১১ধারা মোতাবেক আসামীর যেসব অজুহাত আদালতে প্রাসঙ্গিক:p
(১) যদি কোন বিচার্য ঘটনা বা প্রাসঙ্গিক ঘটনার সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ হয় তা হলে তা প্রাসঙ্গিক।
(২) কোন স্বয়ং অথবা অন্য কোন ঘটনার প্রসঙ্গে কোন বিচার্য ঘটনা প্রাসঙ্গিক ঘটনার অস্বিত্বহীনতাকে অত্যাধিক সম্ভব্য বা অসম্ভব করে তোলে ইহা প্রাসঙ্গিক। সাক্ষ্য আইনের ১১ ধারা।
সাক্ষ্য আইনের ১০৫ ধারা মোতাবেক কোন অপরাধ অভিযুক্ত আসামীর মামলা যদি কোন ব্যতিক্রমের মধ্যে পড়ে তা প্রমানের দায়িত্ব অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর ন্যাস্ত থাকে।