অস্ত্র আইন ধারা ৩০-৩৩

অস্ত্র আইন:-
ধারা -৩০ (১৯-চ ধারার ব্যাপারে তল্লাশি কেমনভাবে পরিচালিত হইবে )
১৯ ধারার ‘চ’ দফায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য দায়েরকৃত মামলা চলাকালে যেক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির অধীনে তল্লাশি চালানো হইবে, ঐ বিধিতে যাহাই থাকুত, ঐ কার্যবিধিতে (কোড) যেকোনো কিছু থাকা সত্ত্বেও নামে বা পদহেতু সরকার কর্তৃক এই ব্যাপারে বিশেষভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কিছু কর্মকর্তার সম্মুখে এইরূপ তল্লাশি করিতে হইবে, অন্যভাবে নহে ।

ধারা -৩০-ক ( অস্ত্রশস্ত্র এবং গোলাবারুদ বিশারদের মত প্রয়োজন নাই )
এই আইনের অধীনে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধের জন্য কোনো বিচারে কোনো বস্তু বা কোনো জিনিস অস্ত্রশস্ত্র বা গোলাবারুদ কিনা তাহা প্রমাণের জন্য কোনো বিশারদের মতামত বা পরীক্ষার প্রয়োজন নাই, যদি না অপরাধের বিচারের সময় আদালতের মতে এইরূপ মতামত বা পরীক্ষার প্রয়োজন হয়।

ধারা-৩১ ( অন্যান্য আইনের কার্যকারিতা বারিত নহে )
এই আইনের কোনো কিছুই অন্য কোনো আইনের অধীনে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করা হইতে বাধা দিবে না (তাহার) এমন কোনো কার্যে বা বিচ্যুতির জন্য যাহা এই আইন বা তদধীনে প্রণীত বিধিমালা অধীনে অপরাধ গঠন করে বা এই আইনে ব্যবস্থিত শাস্তি বা দণ্ডের চেয়ে অন্য আইনের অধীনে উচ্চতর শাস্তি বা দণ্ডের জন্য দায়ী হওয়া হইতে (বাধা দিবে না) ।
তবে শর্ত এই যে, একই অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে দুইবার শাস্তি দেওয়া হইবে না ।

ধারা -৩২ ( শুমারী লওয়ার ক্ষমতা )
সরকার সময় সময় অফিসিয়াল গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যেকোনা আগ্নেয়াস্ত্রের শুমারী লইতে নির্দেশ দিতে পারেন, এবং নামে বা তাহার অফিসের ক্ষমতাবলে কোনো ব্যক্তিকে এইরূপ লওয়ার জন্য ক্ষমতা প্রদান করিতে পারেন ।
এইরূপ কোনো বিজ্ঞপ্তির পর এই সমস্ত এলাকায় এইরূপ আগ্নেয়াস্ত্র থাকা সকল ব্যক্তি ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির নিকট এইরূপ তথ্য প্রদান করিবে যাহা তিনি প্রসঙ্গক্রমে চাহিবেন, এবং তিনি যদি তাহা চান তাহা হইলে এই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র তাহার নিকট হাজির করিবে বা জমা দিবে ।
যদি কেহ এই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র হাজির করিতে অস্বীকার বা অবহেলা করে যখন তাহা চাওয়া হয় তাহাকে ১ (এক) মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড বা ২০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় প্রকার দণ্ডে দণ্ডিত করা হইবে ।

ধারা -৩৩ ( আইনগত ব্যবস্থা বা মামলার বিজ্ঞপ্তি এবং মেয়াদ )
এই আইনের অধীনে কৃত কোনো কাজের জন্য কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাহাকে অভিপ্রেত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় এবং তাহার উদ্ভূত কারণ এক মাস পূর্বে লিখিত বিজ্ঞপ্তি না দিয়া দেওয়ানী মামলা ব্যতীত কোনো কার্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে না, নতুবা এইরূপ উদ্ভূত কারণ হইতে ৩ (তিন) মাস উত্তীর্ণ হওয়ার পর ।

(সংগৃহিত)

বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!