সময় গণনার পদ্ধতি; ধারা ১২-১৫ | তামাদি ০৪

তামাদি আইন পুরোটাই সময় নিয়ে তবে এ অংশে আমরা বিশেষে ভাবে সময় গননা কিভাবে করতে হয় তা আলোচনা করবো যা তামাদি আইনের ধারা ১২,১৩,১৪,১৫ -কে কাভার করবে।

আইনি প্রক্রিয়ার সময় বাদ দেওয়া (ধারা ১২)

১) কোন মামলা, আপিল বা আবেদনের জন্য যে সময় সীমা দেওয়া থাকবে, সেই সময় সীমা যেদিন থেকে গণনা করা হবে সেই দিনটি বাদ যাবে। সহজে বললে Couse of action এর দিনটি (সেদিন থেকে সময় গণনা সুরু হবে) বাদ যাবে, অর্থাৎ জানুয়ারির ১ তারিখে ঘটনাটি ঘটলে তার পরের দিন ২ তারিখ থেকে সময় গণনা শুরু হবে।

২) কোন আপিল, আপিলের জন্য আবেদন, রায় পুনর্বিচারের জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে সময় গণনার জন্য যেদিন রায়টি ঘােষণা করা হয়েছিল। এবং ডিক্রির অনুলিপি বা দণ্ডাদেশ বা যে আদেশের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনা করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল তা হাতে পাওয়ার জন্য যে সময় লাগবে তা বাদ যাবে।

৩) যখন কোন ডিক্রি থেকে আপিলের জন্য আবেদন করা হবে বা রিভিউয়ের জন্য আবেদন করা হবে। যে রায়ের উপর ভিত্তি করে তা করা হবে সেই রায়ের কপি হাতে পাওয়ার জন্য যেই সময় লাগবে তা বাদ দিতে হবে।

৪) কোন রায় (award) বাতিলের জন্য আবেদনের জন্য সেই রায়ের অনুলিপি পাওয়ার জন্য যে সময় লাগবে তা বাদ যাবে।

সময় গণনার পদ্ধতি

সময় গণনার পদ্ধতি

দেশের বাইরে থাকলে সময় বাদ (ধারা ১৩)

কোন মামলা করার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি বিবাদী বাংলাদেশের বাইরে। থাকে, সেই সময়টি বাদ যাবে।

ভুল আদালতে মামলা করলে সেই সময় বাদ (ধারা ১৪)

সরল বিশ্বাসে চলমান বিচারিক প্রক্রিয়া যার কিনা আসলে বিচারিক ক্ষমতা ছিল না, সেই সময়টি বাদ যাবে। (ধারা ১৪)

ধারাটিকে আমরা একটু ভেঙ্গে দেখলে বুঝতে সুবিধা হবে। এ ধারায় বলা হয়েছে যদি কোন মামলার জন্য দেওয়া প্রদত্ত সময়ের মধ্যে বাদী ও বিবাদীর মধ্যে, একই বিষয় নিয়ে সরল বিশ্বাসে অন্য কোন আদালতে দেওয়ানি মামলা পরিচালিত হয় (প্রথম মামলা বা আপিল) এবং যে আদালতে মামলাটি (প্রথম) করা হয় তার বিচারিক এখতিয়ারের বাইরে হওয়া বা এমন ধরনের অন্য কোন কারণে সে বিচার করতে পারে না।

তবে নিচের বিষয়গুলাে মিলতে হবে।

  • ক. দেওয়ানি মামলা হতে হবে।
  • খ. প্রথম মামলাটি সরল বিশ্বাসে এবং যথাযথ ভাবে করতে হবে।
  • গ. দুটি মামলার ক্ষেত্রে একই পক্ষ থাকতে হবে।
  • ঘ. একই বিষয় ও একই ঘটনা হতে হবে।
  • ঙ. আগের মামলায় আদালতের এক্তিয়ার বা এমন ধরনের কোন সমস্যার কারণে আদালত শেষ পর্যন্ত বিচার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • চ. দুই মামলায় একই ধারণের কার্যক্রম বজায় রাখতে হবে।
  • ছ, একই বিচার (relief) চাইতে হবে।

এমন মামলার ক্ষেত্রে,

  • ১. যেদিন প্রথম মামলাটি করা হয়েছিল এবং যেদিন সেই মামলাটি শেষ হয়েছিল এর মধ্যবর্তী সময় বাদ যাবে।
  • ২. ভুল পক্ষ যােগ বা সঠিক পক্ষ যােগ না করা (mis-joinder) বিচারিক এক্তিয়ারের বাইরে ধরনের রুটি হিসেবে ধরা হবে।

বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: [email protected] more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!