বিয়ের বয়স ও বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭

আমাদের সমাজে বিয়ের মাধ্যমে একজন ছেলে এবং একজন মেয়ে সামাজিক ভাবে বসবাস করার, জৈবিক চাহিদা মেটানোর এবং সন্তান জন্ম দেয়ার স্বীকৃতি পায়। কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে কে কিভাবে বিয়ে করবে সেই বিষয়ে কোন সংবিধিবদ্ধ (কোডিফাইড) আইন নেই, এই বিষয়টা ছেড়ে দেয়া হয়েছে প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ধর্মের পালন প্রক্রিয়ার উপরে (প্রাকটিস) উপরে, তাই একেক ধর্ম বিয়ের বয়সের ব্যাপারে একেক রকমের মন্তব্য করে আবার একই ধর্মের মধ্যে অনেকগুলো শাখা (স্কুল) থাকার কারণে দেখা যায় একই ধর্মের ভিতরেই মতান্তর হয় কিম্বা কোন কোন ধর্মে বয়স নিয়ে কথা বললেও সেই বয়সের সংখ্যাটা সুস্পষ্ট নয়।

অন্যদিকে সরকার বর্তমান সমাজের অবস্থা, প্রয়োজন এবং বিজ্ঞানের বিশ্লেষণ ব্যবহার করে আবার বিয়ের বয়সকে সুনির্দিষ্ট করার চেষ্টা করেছে এবং বাল্য বিবাহ আইনের মাধ্যমে কিছু বিধি নিষেধ দেওয়া হয়েছে, এর ফলে বিয়ে এবং বিয়ের বয়সের ব্যাপারে আমাদের কিছু কনফিউশন তৈরি হয় যা আজ আমরা এখানে সমাধান করার চেষ্টা করবো।

যদি আপনি এক কথায় উত্তর চান যে,

বাংলাদেশের ছেলে এবং মেয়ের বিয়ের জন্য সর্বনিন্ম কত বয়স হতে হয়?

সহজ উত্তর হচ্ছে, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ অনুযায়ী বিয়ে করার জন্য একজন ছেলের বয়স হতে হবে সর্বনিন্ম ২১ (একুশ) বছর এবং একজন মেয়ের বয়স হতে হবে সর্বনিন্ম ১৮ (আঠারো) বছর।

বিয়ে, বিয়ের বয়স, বাল্য বিবাহ ও এর আইন ফলাফল যদি আমারা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে চাই তবে আমাদের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো দেখতে হবে এবং ব্যক্তিগত আইনের সাথে এর সম্পর্ক ও সংঘাত বিবেচনা করতে হবে।

আপনি যদি বিয়ের আইনি দিকগুলো না জেনে থাকন তবে প্রথমে বিয়ে সম্পর্কে আমাদের আর্টিকেল গুলো দেখার অনুরোধ করবো; বিয়ে নিয়ে লেখাগুলো পাবেন এখানে: ব্যক্তিগত আইন এবং বিয়ে বা পালিয়ে বিয়ে / বিয়ে করার আইনি পদ্ধতি

আসুন প্রথমেই বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমারা দেখে নেই এবং এর কিছু বাস্তবিক প্রয়োগ বুঝে নেই।

 

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ তে আসলে কোথাও বিয়ের বয়স, কম বয়স বা বেশী বয়স শব্দগুলো ব্যবহার করেনি বরং ব্যবহার করেছে, প্রাপ্ত বয়স্ক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও বাল্য বিবাহ শব্দগুলো।

 

অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও প্রাপ্ত বয়স্ক

অপ্রাপ্ত বয়স্ক বলতে ধারা ২ (১) সংজ্ঞায়ন করা হয়েছে এভাবে; “অপ্রাপ্ত বয়স্ক” অর্থ বিবাহের ক্ষেত্রে ২১ (একুশ) বৎসর পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো নারী; এবং সঙ্গত কারণেই প্রাপ্ত বয়স্ক বলতে এর উল্টোটা বোঝানো হয়েছে যা ধারা ২ (৩) সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

 

বাল্য বিবাহ

“বাল্যবিবাহ” অর্থ এইরূপ বিবাহ যাহার কোন এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক; এই সংজ্ঞায়ন দেয়া হয়েছে এই আইনের ধারা ২ এর ৪ নং উপ-ধারায়। এই সংজ্ঞায়নের মাধ্যমে বুঝা যায় যে, যখন কোন বিয়েতে বর বা কনে যে কোন একজন বা দুইজন-ই যখন যথাক্রমে ২১ এবং ১৮ বছরের চেয়ে কম বয়স্ক হন তখন তাকে বাল্য বিবাহ বলে।

 

বাল্য বিবাহ করার শাস্তি

ধারা ৭ এ বলা হয়েছে, যদি কোন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি (বর বা কনে যেই হোক না কেন) বাল্য বিবাহ করে থাকে তবে তিনি সেই অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং এরই সাথে সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড পেতে পারেন। তিনি যদি অর্থদণ্ডের অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হন তবে আরও ৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন।

অন্যদিকে, যদি কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি (বর বা কনে যেই হোক না কেন) বাল্য বিবাহ করে থাকে তবে তিনি সেই অপরাধে সর্বোচ্চ এক মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং এরই সাথে সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড পেতে পারেন। উল্লেখ্য যে, যেহেতু ১৮ বছরের নিচে কোন ব্যক্তি একজন শিশু তাই তার বিচার শিশু আইন, ২০১৩ অনুসারে হবে। তবে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দিলে সেজন্য তারা কোন সাজা ভোগ করবে না। (নিচে বিস্তারিত দেখুন)

 

বাল্য বিবাহ করানোর শাস্তি

অনেক সময় দেখা যায় বাবা-মা বা অভিভাবক অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের বিয়ে দিয়ে থাকেন যেখানে হয়তো তাদের কিছু করার থাকে না বা যেখানে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা অভিভাবকের পক্ষ থেকে আসে। এমন ক্ষেত্রে সেই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি দোষী হবেন না বরং সেই অভিভাবক দোষী হবেন। এই ধারাটি একটু সবিস্তারে দেখা প্রয়োজন;

ধারা ৮। বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ব্যক্তির শাস্তি

পিতা-মাতা, অভিভাবক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি, আইনগত ভাবে বা আইন বহির্ভূতভাবে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হইয়া বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করিবার ক্ষেত্রে কোন কাজ করিলে অথবা করিবার অনুমতি বা নির্দেশ প্রদান করিলে অথবা স্বীয় অবহেলার কারণে বিবাহটি বন্ধ করিতে ব্যর্থ হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

তবে এই ৭ ও ৮ ধারার একটি ব্যতিক্রমও আছে যার মাধ্যমে আইনগত ভাবেই বাল্য বিবাহ দেয়া সম্ভব, এই বিষয়ে নিচে আলোচনা করা হয়েছে

বাল্য বিবাহ আইন

বাল্য বিবাহ আইন

বাল্য বিবাহ সম্পাদন ও নিবন্ধনের শাস্তি

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ধারা ৯ অনুসারে কোন ব্যক্তি বাল্য বিবাহ সম্পাদন বা পরিচালনা করলে, যেমন আয়োজন, ধর্মীয় রীতিনীতি পালন ইত্যাদি তিনি একটি অপরাধ করছেন বলে ধরা হবে এবং এর জন্য তিনি সর্বোচ্চ দুই বছর থেকে সর্বনিন্ম ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং এরই সাথে সর্বোচ্চ এক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড পেতে পারেন। তিনি যদি অর্থদণ্ডের অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হন তবে আরও ৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন।

এবং একই আইনের ধারা ১১ অনুসারে কোন ব্যক্তি বাল্য বিবাহ নিবন্ধন করলে, তিনি সর্বোচ্চ দুই বছর থেকে সর্বনিন্ম ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন এবং এরই সাথে সর্বোচ্চ এক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড পেতে পারেন। তিনি যদি অর্থদণ্ডের অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হন তবে আরও ৩ মাস পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন এবং একইসাথে তার লাইসেন্স বা নিয়োগ বাতিল হবে।

 

বয়স নির্ধারণ

এখন আমরা অনেক কিছুই জানলাম তবে প্রশ্ন হল বয়সের বিষয়টা কিভাবে নির্ধারণ করা হবে, এই বিষয়ে আইনে বলা আছে,

বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ বা আবদ্ধ হইতে ইচ্ছুক নারী বা পুরুষের বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট, প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা পাসপোর্ট আইনগত দলিল হিসাবে বিবেচিত হইবে। [ধারা ১৮]

বিশেষ বিধান; ১৯ ধারা

এতক্ষণ আমরা আইনের সাধারণ দিকগুলো দেখলাম কিন্তু সব আইনেই সাধারণের ব্যতিক্রম বিশেষ বিধান থেকে থাকে যা বিশেষ বা জরুরী প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তবে বলাই বাহুল্য এগুলোকে অনেক সময় অনেক মানুষ আইনের দুর্বলতা বা আইনি মারপ্যাঁচ বলেও চিহ্নিত করে থাকে। তবে বাস্তবিক জীবনে এই বিশেষ বিধানের প্রয়োজন হয় বলেই তা রাখা হয়। তেমনি বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ধারা ১৯ একটি বিশেষ বিধান, এ বিধানে উল্লেখ করা আছে;

এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণ-ক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।

বিষয়টি লাইন বাই লাইন না ধরে আমরা একটি কাল্পনিক উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি সহজে বোঝার চেষ্টা করতে পারি (এই উদাহরণ কোন কেইস ল নয় তাই আক্ষরিক অর্থে ধরার প্রয়োজন নেই)।

ধরুন, রহিম (২০) ও মিথিলা (১৭) একে অপরকে ভালোবাসে এবং তারা দুজনে মিলে একদিন ঘরতে গেল এবং তারা মিলিত হোল, মিথিলা ভাবলে যেই সময়ে তারা মিলিত হয়েছিল তাকে কোন সমস্যা হবার কথা না কিন্তু মাস-খানেক পরেই সে বুঝতে পারলে সে হয়তো কনসিভ করেছে এবং আরও একমাস পরে সে বিষয়টা নিশ্চিত হল কিন্তু এর কোন সমাধান হবার আগেই তিন বা সাড়ে তিন মাস হয়ে গেল।

প্রশ্ন হোল এই অবস্থায় দুই পরিবার কি করবে?

যদি গর্ভপাত করতে চায় তবে বাংলাদেশের আইন, আইনে পেনাল কোড, ১৮৬০ এর ধারা ৩১২ অনুযায়ী সেটা একটা অপরাধ হবে (বিস্তারিত দেখুন এখানে) অন্যদিকে সন্তান জন্ম দিলে তার সামাজিক ও আইনি পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। এমন অবস্থায় হয়তো বিয়েই হতে পারে সহজ সমাধান কিন্তু তাই বলে যে কেউ যেন ইচ্ছে করে এই আইনের সুযোগ না নিতে পারে তা লক্ষ রাখতে হয়।

তাই এমন বিশেষ অবস্থা আসলেই বিশেষ অবস্থা কিনা এবং সেই অবস্থায় বিয়ে দেওয়াই সর্বোত্তম পন্থা কিনা তা নির্ণয় করা প্রয়োজন এবং তাই এমন বিষয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে হয় এবং আদালত বিবেচনা করে তখন বাল্য বিবাহ অনুমোদন করতে পারে, তখনে সেটা কোন অপরাধ হয় না।

মজার বিষয় হচ্ছে পৃথিবীর অনেক দেশেই অভিভাবকের সম্মতিতে এমন বিয়ে বৈধ। এখানে  আমেরিকাকানাডার আইন দেখতে পারেন।

 

গুরুত্বপূর্ণ দিক

এবার এই আইনের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিকে উল্লেখ করা যাক

ধরুন কেউ এই আইন জেনে বা না জেনে বাল্য বিবাহ করে ফেলল তখন কি হবে, প্রথম যদি বিষয়টি নিয়ে দুই বছরের মধ্যে আইনের শরণাপন্ন হয় তবে এর বিচার কারা যাবে এবং সাজা হবে (ধারা ১৮) কিন্তু বিয়ে যেহেতু ব্যক্তিগত / ধর্মীয় আইন মতে হয় তাই বিয়ে কিন্তু অবৈধ বা বাতিল হবে না। তার মানে এই আইনি ব্যক্তিগত আইনের সাথে সাংঘর্ষিক না তবে এতে নতুন করে কিছু নিয়ম করে দেয়া হয়েছে যাতে করে বাল্য বিবাহ ঠেকানো যায় আর কেউ সেই নিয়ম না মানলে তার সাজা হয়।

 

এছাড়াও এই আইনকে আরও নানাভাবে ব্যখ্যা ও বিশ্লেষণ করার সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে (আপনার বয়স ১৮+ হলে) আমাদের সাহায্য নিতে পারেন। আশাকরি এই লেখার মাধ্যমে বিয়ের বয়স ও বাল্যবিবাহ প্রসঙ্গটি আপনাদের কাছে পরিষ্কার করতে পেরেছি যাতে করে আপনার সঠিক পথে চলতে পারবেন এবং মানুষকে সঠিক পথে গাইড করতে পারবেন।

বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: [email protected] more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!