Site icon আইন সেবা [ল হেল্প বিডি]

বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা কখন, কেন এবং কিভাবে পাবেন?

সুবিচার ও সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে সরকার গরীব, অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের আর্থিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট চিন্তা করে এবং সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে দায়বদ্ধতার দিকে লক্ষ রেখে দেশের প্রান্তিক জনগণের জন্য বিনামূল্যে আইনি সহযোগিতা প্রদানের জন্য বিশেষ আইন “আইনগত সহায়তা প্রদান আইন,২০০০” প্রণয়ন করে। পরবর্তীতে এই আইনকে সম্পূর্ণ করতে “আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা, ২০১৪” ও ২০১৫ সালে “আইনগত সহায়তা প্রদান প্রবিধান ২০১৫” প্রণয়ন করে। যার ভিত্তিতে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্ভব হয়, এবং এর সুফল স্বরূপ জাতীয় থেকে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ের জনগণ বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা গ্রহণের দার উন্মোচিত হয়।

চলুন দেখি  বিনামূল্যে (সরকারি ভাবে) আইনগত সহায়তা কখন, কেন এবং কিভাবে পাবেন?

আইনগত সহায়তা প্রদান বলতে কী বুঝায়?

“আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০” এর ২(ক) উপ-ধারা অনুযায়ী আইনগত সহায়তা অর্থ- আর্থিক অসচ্ছল অথবা নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে অসমর্থ বিচারপ্রার্থীকে আইনী সহায়তা প্রদান করা। যেমন- কোনো আদালতে দায়েরযোগ্য, দায়েরকৃত বা বিচারাধীন মামলায় আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান কিংবা মামলার প্রাসঙ্গিক খরচ প্রদানসহ অন্য যে কোনো সহায়তা প্রদান।

আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের অধীনে যে যে সহযোগিতা পেতে পারেন।

আইনগত সহায়তা প্রদান আইনের অধীনে যারা সহায়তা পাবেন।

 (অনুচ্ছেদ ২)

তথ্য ও সেবা গ্রহনের বিশেষ বিধাণ:

 উপরে উল্লেখিত (অনুচ্ছেদ ২) বিষয় ছাড়ও, যে কোন ব্যক্তি, তার আর্থিক সামর্থ্য যাই হোক না কেন, সরকারি আইনগত সহায়তা কর্মসূচির আওতায় পরিচালিত আইনগত তথ্য সেবা গ্রহণ, আইনগত পরামর্শ গ্রহণ কিংবা বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তির সেবা গ্রহণের জন্য যোগ্য বলে ধরে নেওয়া হবে।

যেসব বিষয়ের জন্য সহায়তা পাবেন।

 দেওয়ানি ও ফৌজদারি উভয় ধরনের মামলা-ই সাহায্য প্রদান করা হয় তবে নিচের বিষয়গুলো বিশেষ বাবে উল্লেখযোগ্য:

 

কোন কোন আদালতে এবং কি ধরনের আইনি সেবা পাওয়া যাবে।

যে যে স্থরে সাহয্য করা হয়। নিম্ন আদালত এবং উচ্চ আদালত উভয় যায়গায়-ই একজন ব্যাক্তি আইনি সাহায্য পেতে পারেন। নিন্ম আদালতের বিষয়গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে তা ছাড়াও আরো কিছু স্থানে কিছু সেবা বিশেষ ভাবে নিচে উল্লেখ করা হোল।

সুপ্রীম র্কোট লগ্যিাল এইড অফিসের প্রদত্ত সবোসমূহ;

ফৌজদারি ও দেওয়ানি আপীল, ফৌজদারী রিভিশন, দেওয়ানী রিভিশন, বিবিধ, জেল আপীল, রীট পিটিশন (সীমিত), লিভ-টু-আপীল ইত্যাদি।

আইনগত পরার্মশ প্রদান, মামলা দায়রে ও পরচিালনা, মামলার গুণাগুণ বিশ্লেষন ও বিশেষজ্ঞ মতামাত প্রদান। প্রবধিানমালার বিধান অনুসারে মামলার আনুষঙ্গকি ব্যয় বহন।

শ্রমিক আইন সহায়তা সেল থেকে প্রদত্ত সেবা।

আইনগত পরামর্শ প্রদান, অনুযোগপত্র প্রণয়নে সহযোগিতা করা, মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে মধ্যস্থতার

মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সহায়তা করা, শ্রমিকদের পক্ষে শ্রম আদালতে মামলা পরিচালনায় সহায়তা করা, প্রবিধানমালার বিধান অনুসারে মামলার আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন।

আইনগত সহায়তার জন্য আবেদনের উপায়।

 ১।  যেভাবে ফরম সংগ্রহ করা যাবে
২। ফরম যথাযথ ভাবে পূরন করা এবং জমা দেওয়া
৩। আবেদনে সাময় আবেদনকারীকে খেয়াল রাখতে হবে।

তড়িৎ সহায়তা চাওয়ার আরও কিছু উপায়।

সরকার আপনার ঘর পর্যন্ত আইনি সহায়তা প্রদান করতে সুধু অফিসেই নয় বরং অনলাইন এবং বিশেষে টেলিফোন নাম্বারের মাধ্যমে তথ্য ও সাহায়তা দিচ্ছে।

তাই  এখন অসহায় মানুষ ইচেছ করলেই পেতে পারে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা।

বন্ধুদের জানান
Exit mobile version