এক নজরে সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২ ও প্রাথমিক ধারনা [সা.আ. ০১]

“সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২” আইনের ছাত্রদের জন্য এটি একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ আইন, কিন্তু আইনের কঠিন ভাষার কারণে অনেকেই সহজে আইনটি বুঝতে পারেন না। তাই সহজে এই আইনটি বোঝানোর একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

প্রাথমিক ধারনা

Evidence

  1. Oral
    • Direct
    • Indirect
  2. Documentary
    • Primary
    • Secondary

উপরে আমরা বিভিন্ন ধরনের সাক্ষ্যর ধরন দেখছি।

jury_disregard[1]

Fact > Evidence > Proof

কোন মামলায় প্রথমেই আমরা একটা ফ্যাক্ট পাই, তারপর সাক্ষ্য/সাক্ষীর ভিত্তিতে তা প্রমাণিত হয়।

এই প্রমাণিত হওয়া বা না হওয়াকে আবার তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
কোন বিষয় প্রমাণের জন্য হাজির করা হলে হয় তা Proved  বা Disproved হয়,আর প্রমাণের জন্য পেশ না করা হলে তা Not Proved হয়।

Facts in Issue (বিচার্য বিষয়) :

একটি মামলায় সাধারণত এক পক্ষ কোন অভিযোগ করে বা অধিকার দাবি করে, আর সাধারণত অন্য পক্ষ তা অস্বীকার করে, তখন সত্য মিথ্যা যাচাইয়ের জন্য তখন আদালতের সামনে কিছু প্রশ্ন চলে আসে, সেই প্রশ্নের উত্তর পেলে মামলার ফলাফল নির্ধারণ করা যায়। আর আদালত এই সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজেন, খুঁজতে গিয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করেন।

ধরুন ‘ক’ খুন করেছে ‘খ’ কে, ‘ক’ তা স্বীকার করলো না, তখন আদালত প্রশ্ন করেবে, “ক” কি “খ”কে খুন করেছে কি করেনি? যেটি হবে বিচার্য বিষয়।
সাধারণত, এই বিচার্য বিষয় নির্ধারিত হয় Substantive Law এর মাধ্যমে।

Relevant Fact:

যখন একটি (মূল) ঘটনা আরেকটি ঘটনার সাথে এমন ভাবে যুক্ত থাকে যা প্রথম ঘটনাটিকে বুঝতে সাহায্য করে, অথবা Facts in Issue এর উত্তর খুঁজতে সাহায্য করে তখন তাকে Relevant Fact বলে।

ধরুন ‘ক’ খুন করেছে ‘খ’ কে, এটি ফ্যাক্ট এখন জানা যায় তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল, এটা রিলিভেন্ট ফ্যাক্ট।

এই আইনের দ্বিতীয় অধ্যায়ে : Relevancy of Facts এ সেকশন ৫ থেকে ৫৫ পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা আছে, কোনটা Relevant Fact হবে বা হবে না।

এক নজরে সাক্ষ্য আইন

সাক্ষ্য আইন একটি পদ্ধতিগত আইন, এই আইনে বলা আছে কোন পদ্ধতি, কি কি সাক্ষ্য গ্রহণ করা যাবে বা যাবেনা, কোন সাক্ষীর বা সাক্ষ্যর কতটুকু মূল্যায়ন থাকবে ইত্যাদি।

ভারতীয় উপমহাদেশের আদালতে আইন পরিচালনার জন্য সর্ব প্রথম ১৮৫০ সালে স্যার হেনরি সামার মেইন একটি সাক্ষ্য আইনের খসড়া বিল তৈরি করেন যা পরে এই উপমহাদেশে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে প্রতীয়মান হয়। তারপর ১৮৭১ সালে স্যার জেমস ফিটজজেমস ফিস্টফেন নতুন করে একটি খসড়া প্রস্তুত করেন, ১৮৭২ সালে ১ সেপ্টেম্বর যা কার্যকর হয়। মূলত আমরা সেই আইন-ই গুটি কয়েক সংশোধনী সহ ব্যবহার করে আসছি।

এক নজরে:

  • অংশ: ৩টি
  • অধ্যায়: ১১ টি
  • ধারা: ১৬৭ টি
  • সাল: ১৮৭২
  • আইনের ধরন: পদ্ধতিগত আইন
  • প্রণীত হয়: ১৫-ই মার্চ ১৮৭২

মনে রাখতে হবে:

  • এই আইন ১৯৫২ সালে সেনাবাহিনী আইন অথবা ১৯৬১ সালের নৌ শৃঙ্খলা আইন অথবা ১৯৫৩ সালে বিমান বাহিনী আইনানুসারে গঠিত সামরিক আদালতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

সাক্ষ্য আইন নিয়ে আমাদের টিউটোরিয়াল/ লেখা গুলো দেখুন এখানে। আপনি সাক্ষ্য আইনের সকল বিষয় বাস্তব উদাহরণ সহ সহজে বুঝতে পারবেন [আমরা শুধু কপি করে আইন তুলে দেই না]

আরো দেখুন:

বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: [email protected] more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!