সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন (Specific Relief Act) ১৮৭৭; কি এবং কেন? | 01

ধরুন আমরা কোন দেওয়ানি ক্ষতির (Civil Wrong) ক্ষতিপূরণ বা প্রতিকার চাই (বিচার), এখন এই প্রতিকার নানা ভাবেই পাওয়া যেতে পারে যেমন দেওয়ানি আইন ও দেওয়ানি কার্যবিধি অনুসরণ করে অথবা কোন বিশেষ আইন অনুসরণে করে। এইসব দেওয়ানি আইনের মধ্যে আবার টর্ট, ন্যায়বিচার বিচার (Equity), বিশ্বাস (Trust) ইত্যাদির মাধ্যমে বিচার পাওয়া সম্ভব। সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন – ১৮৭৭ বলবত হওয়ার আগে এত সব অনির্দিষ্ট আইন আর কার্যবিধির মধ্যে প্রচুর জটিলতা সৃষ্টি হত, এবং এমন এক অবস্থার সৃষ্টি হত যে ন্যায়বিচারের বিচারের স্বার্থে আদালতকে তার সামনে আসা সকল বিষয় শুনতে হত এবং এগুলো একেকটা একেক আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হত। তাই বহু ব্যবহৃত কিছু বিষয়কে এই সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন – ১৮৭৭ দ্বারা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল এবং কি উপায়ে এসব সুনির্দিষ্ট বিষয়ের প্রতিকার পাওয়া যাবে তাও বলে দেওয়া হল।

 

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কি?

যে আইনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট দাবির প্রেক্ষিতে প্রতিকার পাওয়ার উপায় বর্ণিত আছে সেটাই হল সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন। যা “সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭ [The Specific Relief Act, 1877] নামে নামকরণ করা হয়েছে।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন (Specific Relief Act) ১৮৭৭; কি এবং কেন?

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭; কি এবং কেন?

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কেন?

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে চুক্তির বিভিন্ন বিষয় যেমন, সম্পাদন, বাতিল, দলিল এছাড়াও দখল, মালিকানা, ইনজাংশন / স্থগিতাদেশ ইত্যাদি প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

তাছাড়াও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের বিষয় বস্তুর দিকে লক্ষ করলেই সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন কেন প্রণয়ন করা হয়েছে তা বোঝা যায়।

সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনে বিষয়বস্তুগুলোকে ৫ ভাগে ভাগ করা হয়েছে

  • ১. নির্দিষ্ট সম্পত্তির দখল নেওয়া এবং দাবিদারের নিকট হস্তান্তর করা। (ধারা ৯ এবং ১১)
  • ২. যেটা না করার জন্য দায়বদ্ধ এমন পক্ষকে সেই কাজ করা থেকে বিরত রাখা। যেমন: ইনজাংশন (ধারা ৫২, ৫৭)
  • ৩. যেটা করার জন্য দায়বদ্ধ এমন পক্ষকে সেই কাজ সম্পাদন করার আদেশ দেওয়া। (ধারা ১২ এবং ৩০) যেমন: কোন চুক্তি সম্পাদন করতে বলা।
  • ৪. কোন পক্ষের অধিকার নির্ধারণ করা এবং ঘোষণা দেওয়া। (ধারা ৩ থেকে ৪৩) যেমন: ঘোনামূলক ডিক্রি দেওয়া।
  • ৫. রিসিভার নিয়োগ করা। (ধারা ৪৪)

তাছাড়াও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মাধ্যমে দলিল সংশোধন ও বাতিল করা হয়ে থাকে । (ধারা: ৩১-৩৪, ৩৯-৪১)


আমাদের সকল লেখা ও আপডেট পেতে সাবসক্রাইব করুন [ডানদিকে নিচের লাল বেল বাটনটি ক্লিক করুন] অথবা আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে রাখুন।

বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: [email protected] more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!