তামাদি আইনের বাধা প্রদান ও বিশেষ বিবেচনা | তামাদি ০২

আচ্ছা ধরুন আপনি তামাদি আইনে সময়টা জানেন এবং এই সময়ের মধ্যে আদালতে গিয়ে দেখা গেল যে আদালত বন্ধ তখন আপনি কি করবেন? অথবা কোন বিশেষ করণে আপনি সময় মতন আপনার মামলা / মোকদ্দমাটি করতে পারেন নি তখন  সময় গণনার প্রক্রিয়া কি হবে? আপনি তখন কি করবেন? আপনি কি বিশেষ কোন সুবিধা পাবেন? এসব উত্তর আছে তামাদি আইনের ৩ থেকে ৫ ধারায়।

তামাদি আইনের বাধা প্রদান ও প্রভাব

তামাদি আইনের ধারা ৩ মতে, যদি কোন মামলা, আপিল বা দরখাস্ত ১ম তফসিল অনুসারে যে সময় দেওয়া আছে তা অতিক্রান্ত হওয়ার পরে করা হয়, এমন অবস্থায় যদি বিবাদী পক্ষ সময় নিয়ে কোন প্রতিরােধ নাও করে, তবুও তা বাতিল বলে গণ্য করা হবে। যদিও এই আইনে ধারা ৪ থেকে ধরার ২৫ পর্যন্ত কিছু বিশেষ অবস্থার কথা বলা আছে যা বিবেচনা করতে হবে। (Exception to general rule)

ব্যাখ্যা:

একটি মামলা সাধারণ ভাবে দায়ের করা হয়েছে,

  • যেখানে আর্জি যথাযথ কর্মকর্তার নিকট পাঠানাে হয়েছে বা,
  • দরিদ্রের ক্ষেত্রে যেখানে মামলা গ্রহণের জন্য (Leave to sue – Pauper suit) আবেদন করা হয়েছে বা,
  • কোম্পানির পাওনা আদায়ের ক্ষেত্রে, যেখানে আদালতের আদেশে কোম্পানি গুটানাে (wound up) করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে লিকিউডেটরের (liquidator) নিকট পাঠানাে হয়েছে।

তারিখ শেষ হবার সময় যদি আদালত বন্ধ থাকে: (ধারা ৪)

তামাদি আইনের বাধা প্রদান ও বিশেষ বিবেচনা

তামাদি আইনের বাধা প্রদান ও বিশেষ বিবেচনা

কোন মামলা, আপিল বা দরখাস্তের জন্য আইনে কোন নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে এবং ঐ সময়ের শেষে দিনে যদি আদালত বন্ধ থাকে তবে আদালত পরবর্তী যেই তারিখে খুলবে সেই দিনে ঐ মামলা, আপিল বা দরখাস্ত করা। যাবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে সময় সীমার বর্ধন: (ধারা ৫)

কোন আইনে যদি কোন মামলা, মামলার জন্য আবেদন (leave to Sue), আপিল, আপিলে জন্য আবেদন (leave to appeal), দরখাস্ত ইত্যাদি দেওয়া থাকে কিন্তু আবেদনকারী সেই সময়ে মধ্যে আবেদন করতে ব্যর্থ হয়, তবুও যদি আবেদনকারী আদালতকে যথাযথ কারণ দেখিয়ে সন্তুষ্ট করতে পারে, তবে আবেদনকারী বিশেষ বিবেচনায় নির্ধারিত সময়ের পরেও ঐ আবেদন গ্রহণ করতে পারেন।

ব্যাখ্যা: যদি আবেদনকারী হাইকোর্ট ডিভিশনের কোন আদেশ বা রায় দ্বারা ভুল পথে পরিচালিত হয় এবং সে কারণে যদি সময় গণনায় ভুল হয় তবে তা এই ধারায়। যে বিশেষ বিবেচনার কথা বলা আছে তার জন্য যথাযথ হবে।


বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: [email protected] more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!