বিক্রেতার ত্রুটিপূর্ণ মালিকানায় ক্রেতার অধিকার; ধারা ১৮ | SR 06

অনেক সময় এমন হয় কেউ নিজের মনে করে অন্যের সম্পত্তি বিক্রি করে ফেলে, কেউ হয়তো সত্যি না জেনে করে আবার কেউবা প্রতারণা করতে এমন করে আবার অনেক সময় দেখা যায় পরবর্তীতে এইসব সমস্যা সমাধান হয়ে যায় এবং যিনি বিক্রি করেছিলেন তিনি প্রকৃত মালিক হয়ে যান। এমন সব ঘটনায় সমাধান কি হবে তাই বলা আছে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের ধারা ১৮ তে

বিক্রেতার ত্রুটিপূর্ণ মালিকানায় ক্রেতার অধিকার [ধারা ১৮]

যখন কোন বিক্রেতা কোন [সুনির্দিষ্ট] সম্পত্তি বিক্রি করতে চুক্তি করে এবং তার সম্পত্তির উপর তার মালিকায় যদি ত্রুটি থাকে তখন ক্রেতা বা লিজ গ্রহীতা নিচের অধিকার গুলো পাবেন।
ক) যদি বিক্রেতা পরবর্তীতে তার মালিকানার ত্রুটি সারাতে পারেন তবে ক্রেতা তাকে চুক্তি সম্পাদন (বিক্রি) করার জন্য বাধ্য করতে পারবেন।

উদাহরণ:

জমির কথা বলেছে তা পায়নি পেয়েছে অন্য ৫ কাঠা, তখন ক চুক্তি সম্পাদন করতে অস্বীকার করলো। কিন্তু যদি এমন হয় ক পরবর্তীতে তার ভাইয়ের সাথে আপসের মাধ্যমেই ঐ সুনির্দিষ্ট জমিটি বুঝে নিলো তবে এক্ষেত্রে খ ক’য়ের বিরুদ্ধে চুক্তি সম্পাদন করার জন্য মামলা করতে পারবে।

বিক্রেতার ত্রুটিপূর্ণ মালিকানায় ক্রেতার অধিকার

বিক্রেতার ত্রুটিপূর্ণ মালিকানায় ক্রেতার অধিকার

খ) যদি যথাযথ মালিকানা পেতে অন্য কোন ব্যক্তির মত প্রদানের প্রয়োজন হয় এবং সেই ব্যক্তি বিক্রেতার অনুরোধ রাখতে বাধ্য থাকেন, তখন ক্রেতা বিক্রেতাকে ঐ ব্যক্তির মত প্রদানের জন্য রাজি করাতে বাধ্য করতে পারেন। (আবার ক্রেতা যদি ঐ ব্যক্তিকে রাজি করাতে পারে তাহলেও চুক্তি সম্পাদন করতে বাধ্য হবে।)

উদাহরণ:

ক খ গ তিন জন এক জমির মালিক, ক চ’য়ের সাথে ঐ জমি বিক্রি করার চুক্তি করলো, যেখানে গয়ের সম্মতি প্রয়োজন এবং ক বললে গ তাতে সম্মতি দেবে। এই অবস্থায় চ চুক্তি সম্পাদনের উদ্দেশ্যে ক’কে গয়ের মত নেওয়ার জন্য রাজি করতে বাধ্য করতে পারে।

গ) যখন বিক্রেতা কোন জমি কে দায়হীন বলে বিক্রির চুক্তি করেন, কিন্তু দেখা যায় জমিটি আসলে বন্ধক দেওয়া আছে, চুক্তি মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে, এবং বিক্রেতার কেবল মাত্র পুনরুদ্ধারের অধিকার আছে, ক্রেতা বিক্রেতাকে সেই জমি পুনরুদ্ধারে বাধ্য করতে পারে।

ঘ) যখন বিক্রেতা অথবা লিজ দাতা ক্রেতার বিরুদ্ধে কোন সুনির্দিষ্ট প্রতিকারের মামলা করেন এবং সেই মামলা যদি ত্রুটিপূর্ণ মালিকানার কারণে বাতিল হয়ে যায় তবে ক্রেতা তার প্রদেয় অর্থ সুদ সমেত ফেরত পাওয়ার অধিকার রাখেন। তথাপি তার মামলার খরচ তার সুদ, পূর্বস্বত্ব ফেরত পাওয়া অধিকার রাখেন।


ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল lawhelpbd@gmail.com বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: rayhan@lawhelpbd.com more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!