ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন ও তার আইনি প্রতিকার

কেউ তার নামে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করলে তার সেই ট্রেডমার্কের উপর কিছু একচেটিয়া আইনগত অধিকার তৈরি হয় এবং কেউ সেই অধিকার লঙ্ঘন করলে বাংলাদেশের প্রচলিত বিভিন্ন আইনে ও বিভিন্ন ফোরামে তার প্রতিকার পাওয়া যায়। 

ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন (Trademark Infringement) কি?

যখন কোন ব্যক্তি কোন ট্রেডমার্ক নিজের নামে নিবন্ধিত না হওয়া সত্ত্বেও অথবা কোন চুক্তির মাধ্যমে অধিকার না পাওয়া সত্ত্বেও অন্য কারো নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক সেই (অন্য) ব্যক্তির অনুমতি ছাড়া বাণিজ্যিক ভাবে পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে  ব্যবহার করে অথবা সাদৃশ্যপূর্ণ বা সাদৃশ্যমূলক কোনো মার্ক প্রতারণামূলক-ভাবে  ব্যবহার করে যা দেখে ভোক্তা প্রতারিত হয় বা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় তখন উক্ত রেজিষ্ট্রারকৃত ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন (Trademark Infringement) হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে। এটাকে সহজ ভাষায় ট্রেডমার্কের নকল বা প্রতারণা বলা যায়।

এ ক্ষেত্রে রেজিষ্ট্রারকৃত ট্রেডমার্কের মালিক এই লঙ্ঘনের জন্য মামলা বা মোকদ্দমা দ্বায়ের করতে পারে।

ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন ও তার প্রতিকার

ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন ও তার প্রতিকার

ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের জন্য মামলা

কোন ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের জন্য তিনটি ফোরামে মামলা বা মোকদ্দমা করা যায় এবং প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিকার পাবার ব্যবস্থা করা যায়। 

ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ অনুসারে

কোন ব্যক্তি ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করলে, প্রতারণা করলে একাধিক আইনি ফোরামে এর প্রতিকার পাওয়া যায়; যেমন ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ আর অধীনে ট্রেডমার্ক নকল করলে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের জন্য মামলা করা যাবে আবার অন্যের পণ্য নিজের নামে চালানোর জন্য পাসিং অফের  মামলা করা যাবে।

 

নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন (ধারা ৯৬-৯৭)

ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ ধারা ৯৬ এর  অধীনে লঙ্ঘন জনিত কারণে জেলা জজ আদালতে দেওয়ানি মামলা করা যায়।

এই ধারা অনুসারে নিন্মোক্ত বিষয়ে জেলা জজ আদালতে মামলা করা যায়।

  • (ক) কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের লঙ্ঘন; 
  • (খ) নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক সংশ্লিষ্ট কোন অধিকার; 
  • (গ) নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের সংশোধিত কোন অধিকার; এবং 
  • (ঘ) সাদৃশ্যপূর্ণ বা প্রতারণামূলক-ভাবে সাদৃশ্যপূর্ণ কোন ট্রেডমার্ক, নিবন্ধিত হউক বা না হউক, চালাইয়া দেয়া।

ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ ধারা ৯৬ ধারায় মামলা করলে প্রতিকার হিসাবে আদালত নিষেধাজ্ঞা এবং বাদীর দাবি অনুসারে ক্ষতিপূরণ বা মুনাফার অংশ প্রদানের আদেশ দিতে আদেশ প্রদান করতে পারেন এছাড়াও  ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন কাজে ব্যবহৃত লেবেল ও মার্কসমূহ নষ্ট বা মুছেফেলা বা সরিয়ে নেওয়া জন্য আদেশ প্রদান করবেন।

এখানে লক্ষ করার বিষয় এইযে, ক্ষতিপূরণ বা মুনাফার অংশ বাদীর দাবি এবং প্রকৃত আয়ের মধ্যে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে যা লক্ষ টাকাও হতে পারে আবার কোটি টাকাও হতে পারে।

(ধারা- ৯৭, ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯)

 

এই মামলা নিবন্ধিত ব্যবহারকারী অথবা নিবন্ধিত ব্যবহারকারী যদি কাউকে চুক্তির মাধ্যমে ট্রেডমার্ক ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করেন সেই ব্যক্তি মামলা করতে পারবেন। (ধারা- ৪৬, ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯)

 

মিথ্যা ট্রেডমার্ক, ট্রেড বর্ণনা, ইত্যাদি ব্যবহারের দণ্ড (ধারা ৭৩)

ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৭৩ ধারা অনুসারে যদি কোন ব্যক্তি কোন ট্রেডমার্ককে মিথ্যা প্রতিপন্ন করেন, কোন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে ট্রেডমার্ক মিথ্যা ভাবে ব্যবহার করেন অথবা ব্যবহার কারার উদ্দেশ্যে কোন যন্ত্র দখলে রাখেন অথবা মিথ্যা পরিচয় বহন করেন তাহলে শাস্তি হল;

  • সর্বোচ্চ দুই বছর এবং সর্বনিম্ন ছয় মাসের কারাদণ্ড, সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই লক্ষ এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড। দ্বিতীয়বার একই অপরাধ সংঘটিত হইলে সর্বোচ্চ তিন বছর এবং সর্বনিম্ন এক বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ তিন লক্ষ টাকা এবং সর্বনিম্ন পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ডেরও বিধান রয়েছে।

 

মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা ট্রেড বর্ণনাযুক্ত পণ্য বিক্রয় করিবার দণ্ড (ধারা ৭৪)

ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৭৪ ধারা অনুসারে, যদি কোন ব্যক্তি ধারা ১০৮ এর বিধান লঙ্ঘন করিয়া পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্র বা স্থানের নাম ব্যবহার না করেন অথবা পণ্য বা বস্তু বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত রাখেন বা বাণিজ্য বা উৎপাদনের উদ্দেশ্যে দখলে রাখেন;

  • তাহলে তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কিন্তু সর্বনিন্ম ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ২ (দুই) লক্ষ কিন্তু সর্বনিন্ম ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন, এবং দ্বিতীয়বার বা পরবর্তী সময়ে একই দোষে দোষী সাব্যস্ত হইলে, অনধিক তিন বৎসর কিন্তু সর্বনিন্ম ১ (এক) বৎসরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৩ (তিন) লক্ষ কিন্তু সর্বনিন্ম ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন

 

অন্যদিকে ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর অধীনে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে যেমন, নিবন্ধন বহি (রেজিস্ট্রি বই সংশোধনের) বা নিবন্ধন বাতিলের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে।

 

অ-নিবন্ধিত ট্রেডমার্ককে নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক হিসাবে প্রদর্শন করিবার দণ্ড (ধারা – ৭৬)

  • (ক) অ-নিবন্ধিত ট্রেডমার্ককে নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক হিসাবে প্রদর্শন;
  • (খ) কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কের অংশ পৃথকভাবে নিবন্ধিত না হওয়া সত্ত্বেও, উহাকে পৃথকভাবে নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক হিসাবে প্রদর্শন ; 
  • (গ) পণ্য বা সেবার নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক নয় এমন ট্রেডমার্ককে প্রকৃত নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক বলিয়া প্রদর্শন; অথবা 
  • (ঘ) কোন নিবন্ধিত ট্রেডমার্কে প্রদত্ত অধিকারে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও, যে কোন পরিস্থিতিতে উহা ব্যবহারে নিরঙ্কুশ অধিকারের বিষয়ে মিথ্যা ধারণার অবতারণা করেন, 

 

তাহলে তিনি অনধিক ১ (এক) বৎসর কিন্তু সর্বনিন্ম ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ কিন্তু সর্বনিন্ম ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

 

কোন ব্যবসায়ের স্থানকে অসত্যরূপে ট্রেডমার্ক অফিসের সহিত সংশ্লিষ্ট বলিয়া বর্ণনা করিবার দণ্ড (ধারা – ৭৭)

যদি কোন ব্যক্তি তাহার ব্যবসায়ের স্থানে বা তৎকর্তৃক জারীকৃত কোন দলিলের উপর বা অন্য কোনভাবে এরূপ শব্দাবলী ব্যবহার করেন, যার দ্বারা  যুক্তিসঙ্গত ভাবে এমন বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে, তার ব্যবসায়ের স্থানই ট্রেডমার্ক রেজিস্ট্রির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত;

  • তাহলে তিনি অনধিক এক বৎসর কিন্তু সর্বনিন্ম ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ কিন্তু সর্বনিন্ম ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

নিবন্ধন বইতে অসত্য এন্ট্রির জন্য দণ্ড (ধারা – ৭৮)

যদি কোন ব্যক্তি নিবন্ধন বইতে কোন অসত্য বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন বা করার ব্যবস্থা করেন অথবা নিবন্ধন বইর এন্ট্রির নকল বুঝানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা কিছু লেখেন বা লেখার ব্যবস্থা করেন অথবা উক্ত এন্ট্রি বা লেখাকে অসত্য  জেনেও সেটা সাক্ষ্য হিসাবে পেশ করেন বা করার ব্যবস্থা করেন;

  • তাহলে তিনি অনধিক এক বৎসর কিন্তু সর্বনিন্ম ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ কিন্তু সর্বনিন্ম ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

 

উল্লেখ্য যে, ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯ এর ৭৬,৭৭ এবং ৭৮ এর অধীনে সংঘটিত অপরাধ ফৌজদারী প্রকৃতির অপরাধ, তাই এ ক্ষেত্রে ট্রেডমার্ক নিবন্ধনকারি / মালিক বা তার ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট অপরাধ আমলে নিতে পারবেন।

দেওয়ানি আদালতে মোকদ্দমা বা দরখাস্ত

নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দায়ের

ট্রেডমার্কের স্বত্বাধিকারী ব্যক্তি অবৈধ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দেওয়ানী আদালতে করা যায়; এ ক্ষেত্র দুই ধরনের নিষেধাজ্ঞার দরখাস্ত দায়ের করা যায়।

ক) অস্থায়ী (Temporary injunction) এবং

খ) স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা (Permanent injunction) চাইতে পারবে তবে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাইতে হলে তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে যে, ইহা না দিলে তার অপূরণীয় ক্ষতি সাধিত হবে।

 

ক্ষতিপূরণ (Compensation)

ট্রেডমার্কের স্বত্বাধিকারী ব্যক্তিটি যদি প্রমাণ করতে পারেন তার ট্রেডমার্কের সত্ত্বের অবৈধ ব্যবহার হয়েছে এবং সেই কারণে তার ব্যবসায়ের বিক্রয় বা সুনামের ক্ষতি হয়েছে তবে তিনি যিনি ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করেছেন তার বিরুদ্ধে আদালতের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারবেন এবং আদালত এতে সন্তুষ্ট হলে ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দিতে পারবেন।

ফৌজদারি অপরাধ ও প্রতিকার

দণ্ডবিধি, ১৮৬০ অধীনে ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের দায়ে দেওয়ানী এবং ফৌজদারি প্রতিকারের ব্যবস্থা রয়েছে।

 

মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা সম্পত্তি মার্ক ব্যবহার করলে

কেউ মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা সম্পত্তি মার্ক ব্যবহার করলে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৮২ ধারা অনুসারে  সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন, সাথে অর্থদণ্ডও পেতে পারেন বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

 

নকল ট্রেডমার্ক বা সম্পত্তি মার্ক ব্যবহার করলে

কোন ব্যক্তি নকল ট্রেডমার্ক বা সম্পত্তি মার্ক ব্যবহার করলে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৮৩ ধারা অনুসারে  সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন, সাথে অর্থদণ্ডও পেতে পারেন বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

 

ট্রেডমার্ক নকল করার যন্ত্র দখলে রাখলে

ট্রেডমার্ক নকল করার যন্ত্র দখলে রাখলে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪৮৫ ধারা অনুসারে  সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন, সাথে অর্থদণ্ডও পেতে পারেন বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

 

মিথ্যা মার্ক বা বর্ণনা যুক্ত পণ্য বিক্রি করলে

দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৮৬ ধারা অনুসারে মিথ্যা মার্ক বা বর্ণনা যুক্ত পণ্য বিক্রি করলে তার সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন, সাথে অর্থদণ্ডও পেতে পারেন বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

 

প্যাকেট বা অন্য কোন কিছুর উপরে মিথ্যা ট্রেডমার্ক যুক্ত করলে

দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৪৮৭ ধারা অনুসারে কোন ব্যক্তি কোন বক্স বা প্যাকেট বা অন্য কোন কিছুর উপরে মিথ্যা ট্রেডমার্ক বা বর্ণনা যুক্ত করলে তার সর্বোচ্চ ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন, সাথে অর্থদণ্ডও পেতে পারেন বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

 

ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের লিগ্যাল নোটিশ

ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করলে উপরোক্ত বিভিন্ন ফোরামে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তবে সঠিক প্রতিকার পেতে এবং নিজের সময়, অর্থ ও শ্রম বাচাতে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে বিষয়টা সঠিক ভাবে বুঝে এবং ক্ষেত্র বিশেষে আপোষে সমাধান করার চেষ্টা করাই অনেক সময় উত্তম। তবে মনে রাখতে হবে লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার পর অবশ্যই যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে এবং তাই আগে থেকেই সাক্ষ্য প্রমাণ ও স্ট্রাটেজি ঠিক করে রেখে আগানো উচিৎ।

 

উপসংহার

নিজের ব্যবসা রক্ষা করার জন্য তথ্য নিজের আইনগত সুরক্ষা এবং ব্যবসার প্রসারের জন্য ট্রেডমার্ক করার কোন বিকল্প নেই, সঠিক ট্রেডমার্ক নির্ধারণ করে তা সঠিক প্রক্রিয়ায় নিবন্ধনের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা নিয়ে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হতে পারেন, আর কেউ ট্রেডমার্ক লঙ্ঘন করলে নানাবিধ আইনতো আছেই। তাই সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময়ে ট্রেডমার্ক নিবন্ধন করুন এবং নিশ্চিন্তে নিজের ব্যবসা প্রসারিত করুন।

 

আরো দেখুন:

বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: [email protected] more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!