আদালতে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন

একটি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পরে এবং রায় ঘোষণার আগে দুই পক্ষের বিজ্ঞ উকিলগন তাদের মক্কেলদের পক্ষে আদালতে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করেন। এই যুক্তি তর্ক প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণ ও আইনি বিষয়ের উপর নির্ভর করে প্রদান করা হয়ে থাকে।

চলুন একটি আদালতে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন দেখে নেয়া যাক।


আদালতে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন

সম্মানিত আদালত,

আজকে এই মামলাটি যুক্তি তর্কের জন্য নির্ধারন করা হয়েছে, আমি প্রসিকিউশনকে রিপ্রেজেন্ট করছি, এটি একটি সি. আর কেইস।

গত ১লা জানুয়ারি ২০১৫ ইং তারিখে, বিজ্ঞ নিম্ন আদালত এই মামলায় ফরিয়াদি, হাসনা বানু এই মমে এক খান নালিশ অভিযোগ করেন যে, আসামি সুরুজ মাতব্বর, ঘটনার তারিখ রাত্রি আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় তার ক্যান্টমেন্টস্ত বাসায় গিয়ে Happy New Year উৎযাপন করতা তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, তিনি তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে, তাকে ভয় ভীতি দেখায় এবং তার ছেদে মাসুম মিয়াকে দৈহিক ভাবে আঘাত করে, তার ছেলে যখন চিৎকার কারে তা শুনে পাড়া -প্রতিবেশীরা চলে
এলে আসামি সুরাজ মাতব্বর পালিয়ে যায়।

ফরিয়াদি প্রথমত নিকটস্থ থানায় যান, সেখানে তার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে, অতঃপর সে পহেলা জানুয়ারি ২০১৬ ইং তারিখে বিজ্ঞ নিম্ন আদালতে এসে এই মামলাটি দায়ের করেন, মামলাটি দায়ের করলে বিজ্ঞ Magistrate Code of Criminal Procedure এর ২০০ ধারয় তা রেকর্ড করেনে, এবং সেই সাথে উপস্থিত সাক্ষী দুজনের জবানবন্দী গ্রহণ করেন।

অতঃপর আসামির বিরুদ্ধে অপরটি আমলে নিয়ে ৩৮৫ PC ধারায় অপরাধ আমলে গ্রহণ করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে Warrent দেন, পরবর্তীতে আসামি হাজির হয়ে জমিনে মুক্তি লাভ করেন।

জামিনে মুক্তি লাভের পর মামলাটি বিচার নিষ্পত্তির জন্য বিজ্ঞ দায়রা আদালতে মামলাটি বদলি করা হয়। বদলি শেষে আসামির বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত হয়ে Penal Code এর ৩৮৫ এর অভিযোগ গঠন করেন, এর পর সাক্ষী প্রমাণের কালে ফরিয়াদি, ফরিয়াদির ভাই – Pw2 মাসুম মিয়া, ফরিয়াদির স্ত্রী Pw3 সাক্ষ্য দেন। সাক্ষ্যে আসামি পক্ষ তাদের বিস্তারিত জেরা করেন।

সাক্ষ্য প্রমাণে, ঘটনার তারিখ ঘটনার সময়, ঘটনার স্থান ও ঘটনার প্রকৃতি, সকল সাক্ষীগণ হুবহু সমর্থন করেন। এবং এই আসামি, ঘটনার তারিখে ফরিয়াদির বাড়িতে যাওয়ার বিষয়,  চাওয়ার বিষয়, ভাইকে আঘাত করারা বিষয় হুবহু সমর্থন করেন ও প্রত্যক্ষ করেছেন বলে বলেন। Evidence Act Section 134 এর বিধান অনুযায়ী মামলা প্রমাণ করার জন্য নিদিষ্ট কোন সাক্ষীর সংখ্যা প্রয়োজন নাই।

এই মামলায় যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন, তারা যথার্থ ভাবে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছেন।

যেহেতু আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৮৫ ধারার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং যেহেতু আসামি ঘটনার তারিখে ঘটনাস্থলে গিয়ে চাঁদা দাবি করে, আঘাত করে যা পেনাল কোডের ৩৮৫ ধারায় শাস্তি যোগ্য অপরাধ

তাই নয় বিচারের স্বার্থে এই আসামিকে পেনাল কোডের ৩৮৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার জন্য বিনয়ের সাথে প্রার্থনা করেন।

বন্ধুদের জানান

ল হেল্প বিডি আইনের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সাধারণ ভাবে আইন নিয়ে আলোচনা করে। আইনের আশ্রয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একজন আইনজীবীর পর্যাপ্ত গবেষণা ও কৌশল প্রয়োগ করেন যার ফলে তা সাধারণ আইনের ব্যতিক্রম হতে পারে, আমাদের লেখা এবং সাধারণ সাহায্য কোন আইনজীবীর বিকল্প নয়। প্রয়োজনে একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর সাথে যোগাযোগ করুন।

আমাদের সেবা নিতে চাইলে ফর্ম, ই-মেইল [email protected] বা ফেসবুকের ম্যসেঞ্জারের মাধ্যমে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।

Rayhanul Islam

অ্যাডভোকেট রায়হানুল ইসলাম ল হেল্প বিডির প্রধান লেখক ও সম্পাদক। তার আইন পেশার পাশাপাশি তিনি আইনকে সহযে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। তথ্য ও প্রযুক্তি, মনোবিজ্ঞান এবং দর্শনে তার বিশেষ আগ্রহ রয়েছে। প্রয়োজনে: [email protected] more at lawhelpbd.com/rayhanul-islam

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: দু:খিত এই লেখাটির মেধাসত্ত্ব সংরক্ষিত !!